Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে চায় নীলফামারীর কৃষক- উঠান বৈঠকে জানান কৃষকেরা
বিস্তারিত

প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে চায় নীলফামারীর কৃষক

                        

  1.  প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৪                                                                                                                                                                      

                                                            

                                                                                                                                           

                                            

 

                                                                        


বিশেষ প্রতিনিধি: স্মার্ট ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কৃষিকাজে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে  নীলফামারীর চড়াইখোলা  ইউনিয়নের বসুনিয়া পাড়ায় উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার সকালে “স্মার্ট ফসল উৎপাদনে প্রযুক্তির ব্যবহার ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি বিষয়ক বৈঠক” শিরোনামে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল। তিনি বলেন, কৃষিতেও গানের মতো সুর-তাল-লয় আছে।  ভালো ফসল পেতে হলে সঠিকভাবে বীজতলা তৈরি,  ভালোজাতের বীজবপন, উত্তমরূপে জমি তৈরির পর চারা রোপণ করতে হয়। এর কোনো একটির ছন্দপতন হলে ফসল ভালো হয় না। ফলে একজন কৃষক কাঙ্ক্ষিত লাভও অর্জন করতে পারে না।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নীলফামারী জেলার উপপরিচালক  এ.এস.এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, “স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। স্বল্প খরচে ও অল্প পরিশ্রমে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ এখন সময়ের দাবি। মাত্র এক হাজার টাকায় বীজ বপন ও জমিতে চারা রোপণ অকল্পনীয়।”

চলতি মৌসুমে নীলফামারী জেলায় দেড় হাজার বিঘা জমিতে রাইস প্লান্টিং মেশিন দিয়ে চারা রোপণ করা হচ্ছ।  ফলন বৃদ্ধিতে কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার কৃষকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান উপস্থিত অতিথিরা।

স্থানীয় কৃষক আব্দুর রহিম বসুনিয়া ৩০ বিঘা জমিতে মেশিন দিয়ে চারা রোপণ করছেন। এছাড়া এ গ্রামে আরও ২০ বিঘা জমিতে মেশিন দিয়ে রোপণের কার্যক্রম চলছে।

আব্দুর রহিম বসুনিয়া বলেন, “প্রায় তিন যুগ থেকে চাষাবাদ করছি। এ সময়ের মধ্যে কৃষিতে অনেক পরিবর্তন দেখেছি। দীর্ঘ এ সময়ে পাওয়ার টিলার থেকে শুরু করে বর্তমানের হার্ভেস্টার মেশিন পর্যন্ত বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি গ্রামের মধ্যে সবার আগে আমার জমিতেই ব্যবহার হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও প্রথমবারের মতো, আমার জমিতে রাইস প্লান্টিং মেশিন ব্যবহৃত হচ্ছে।”

কৃষক আলহাজ্ব ওসমান গনি বসুনিয়া বলেন, “সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলার নামই আধুনিকতা। প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়লে ও কৃষিপণ্য সহজলভ্য হলে শ্রমিকদের উপর নির্ভরতা অনেকাংশে কমবে।”

টাকা বাঁচাতে মানুষের কাজ মেশিন দিয়ে করা হচ্ছে- এলাকার অনেকের এমন বিরূপ মন্তব্যের জবাবে কৃষক ও সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক তাজুল ইসলাম বসুনিয়া বলেন, “সময় বলে দিবে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত আমাদের সঠিক হয়েছে কিনা। ফল ভালো হলে নিশ্চয় পরের মৌসুমে অনেকেই মেশিন দিয়ে চারা রোপণ করবে।”

চড়াইখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম রেজা-সহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এ উঠান বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ের উপপরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার রাশেদুল ইসলাম, উপ-পরিচালকের কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ অফিসার আজিজুল ইসলাম, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নত জাতের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী উপজেলা কৃষি অফিসার আতিক আহমেদ, পৌরসভা এলাকার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রকিব আবেদীন, চড়াইখোলা ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাসেল বাবুসহ এলাকার অনেকে।

ছবি
ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
24/01/2024
আর্কাইভ তারিখ
29/02/2028